Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২nd ফেব্রুয়ারি ২০১৭

রাজশাহীর বিএমডিএ-তে প্রথম বরেন্দ্র এগ্রো ইকো ইনোভেশন রিসার্স কনফারেন্সে কৃষি সচিব


প্রকাশন তারিখ : 2017-01-29

বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় রাজশাহীর আয়োজনে গত ২৯ জানুয়ারি বিএমডিএ এর কনফারেন্স রুমে এগ্রো ইকো ইনোভেশন রিসার্স বিষয়ে দিন ব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব মোহাম্মদ মইনুদ্দীন আব্দুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মোহাম্মদ নজমুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী। সেশন পরিচালনা করেন বিএআরসির র্নিবাহী চেয়ারম্যান  ড. জালাল উদ্দীন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুর রশিদ। তিনি বলেন ১৯৮৫ সালে বিএমডিএ সেচ কার্যক্রম শুরু করে । তখন দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল। গভীর নলকুল স্থাপনের ফলে ৫ লক্ষ হেক্টর জমি সেচের আওতায় এসেছে এবং বর্তমানে দেশে কোন খাদ্য ঘাটতি নেই, বরং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে খাদ্য আমদানী করছে । তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে বিএমডিএ এর পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
প্রধান অতিথি মহোদয় তাঁর বক্তব্যে বলেন, সকল বিভাগের পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন দেখে আমি অভিভুত হয়েছি। তিনি সুপারিশ গুলো বই আকারে বাঁধায় করে তার দপ্তরে পাঠানোর জন্য বিএমডিএ এর চেয়ারম্যানকে পরামর্শ দেন। এই ধারাকে অব্যহত রাখতে পরবর্তিতে এই ধরনের আয়োজন করার গুরুত্বারোপ করেন। তিনি দানাজাতীয় শস্যের পাশাপাশি পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য উৎপাদন করার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান। কৃষির জন্য বরেন্দ্র এলাকা একটা চ্যালেঞ্জ তাই শস্য বহুমুখী করনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন করে এই দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পরিশেষে তিনি রিসার্চ এর সাথে জড়িত সকলকে উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করে গোটা জাতি ও বাংলাদেশকে উন্নতশীল দেশে রুপান্তর করার উদাত্ব আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে পরিবর্তিত জলবায়ুতে বরেন্দ্র অঞ্চলের বর্তমান অবস্থা ও করণীয় সম্পর্কে কী নোট উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ এগ্রোনমি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান, এসআরডিআই এর সিএসও দেলোয়ার হোসেন, ইরি ম্যানেজমেন্টের এডভাইজার ড. আসাদুজ্জামান, ওএফআরডি, গাজীপুর এর পিএসও ড. অপূর্ব কান্তি চৌধুরী, ধান গবেষনা, রাজশাহীর সিএসও  ড.মো. রফিকুল ইসলাম, ও আইডিইবির সভাপতি  ড. আঃ রাজ্জাক।
সভাপতি মহোদয় বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে পানির স্তর ক্রমাগত নিচে নেমে যাচ্ছে। মাননীয় কৃষি মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে বর্তমানে বিএমডিএ কোন নতুন গভীর নলকুপ স্থাপন করছে না। খাল, বিলও নদীনালা থেকে ভূ উপরিস্থ পানি দ্বারা সেচ প্রদান করার জন্য জোর দেওয়া হয়েছে। কম সেচ লাগে এমন ফসল যেমন গম, ভুট্টা, আলু, শাক-সবজি এসব ফসল আবাদ করার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে বিএমডিএ এর পক্ষ থেকে মোবারকবাদ জানিয়ে কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
কনফারেন্সে কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিভাগ/দপ্তর/সংস্থার প্রধান/প্রতিনিধি কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন এবং নিজ নিজ বিভাগের কার্যক্রম উপস্থাপণ করেন । কর্মশালায় কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিভাগ/দপ্তর/সংস্থার প্রধান/প্রতিনিধি, কৃষক ও সাংবাদিকসহ প্রায় ৫০০ জন উপস্থিত ছিলেন।